শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ভর্তি পদ্ধতির কোটা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৩তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিদ্যমান ৩ শতাংশ পোষ্য কোটা সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সামগ্রিক ১১ শতাংশ কোটা সংস্কার করে ৫ শতাংশে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত এই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, নতুন কোটা পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও উপজাতিদের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হবে। তবে কোনো কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেই আসন মেধা তালিকা থেকে পূরণ করার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষত, পোষ্য কোটা বাতিল করাকে শিক্ষার্থীরা বৈষম্য দূরীকরণে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও শেকৃবি শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ বলেন, “সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থার সাম্য প্রতিষ্ঠায় এটি একটি সময়োপযোগী এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পদক্ষেপ। পোষ্য কোটা বাতিলসহ অন্যান্য বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা দূরীকরণের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ বলেন, “একাডেমিক কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত আগামী ভর্তি পরীক্ষা থেকেই কার্যকর হবে। বৈষম্য দূরীকরণে অধিকাংশ স্টেকহোল্ডারের সম্মতিতে আমরা এই পরিবর্তন এনেছি। এটি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
শেকৃবি প্রশাসনের এই সংস্কার শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে এবং তা সাম্য ও ন্যায়ের ভিত্তিতে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।