৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের পর, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং পালিয়ে যান দলের প্রধান শেখ হাসিনা ও অন্যান্য নেতারা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের। তাঁর পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে।
ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নানা নায়িকা ও মডেলের ছবি নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছিল। এসব ছবির মাধ্যমে তার নিবিড় সম্পর্কের বিষয়গুলি প্রকাশ পেত। যদিও এগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা হয়নি, তবে নেটিজেনদের মধ্যে এ নিয়ে সমালোচনা ছিল ব্যাপক।
এখন, ওবায়দুল কাদেরের পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁর ব্যক্তিগত কললিস্ট ও ফোন ট্র্যাক লোকেশন নিয়ে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সর্বশেষ ৫ আগস্টের কললিস্ট এবং ফোন নম্বর ট্র্যাকিং তথ্য অনুযায়ী, কাদের মোহাম্মদপুরে অবস্থান করছিলেন দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে। এছাড়াও, কললিস্টে নাম এসেছে বেশ কিছু নায়িকা, মডেল এবং রাজনৈতিক নেত্রীর, যেমন কেয়া, মিস বাংলাদেশ ফারজানা, অ্যানজেনা এলিন এবং ময়মনসিংহের নেত্রী কবিতা।
তবে সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে উঠে এসেছে নায়িকা সোহানা সাবা এবং প্রয়াত নায়িকা মেঘলার সঙ্গে কাদেরের একাধিক যোগাযোগ। এসব তথ্য সামনে আসার পর, ওবায়দুল কাদেরের কললিস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
এর আগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান নিয়ে গুঞ্জন ওঠে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযানও চালায়। তবে কোথাও তাঁর খোঁজ মেলেনি। একে অপরের পরিপূরক হিসেবে গুঞ্জন উঠেছে যে, শেখ হাসিনার মতো তিনিও দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে গেছেন।
তবে, এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি, তবে কললিস্টের ওই সিডিআর কপি এবং তার ফোন ট্র্যাকিং তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ওবায়দুল কাদেরের ফোন লিস্ট এবং সিমের লোকেশন নিয়ে আরও অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।