সংগঠন পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ ও সদস্যসচিব স্নেহাংশু সরকারের যৌথ স্বাক্ষরে এই নোটিশ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতিউর রহমানের একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাঁকে কুয়াকাটা-তুলাতলী বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টার নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে কথা বলতে শোনা যায়। এতে তিনি বলেন, “বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন মিল্যা সিদ্ধান্ত অইছে কুয়াকাটা-তুলাতলী বিআরটিসির লোকাল বাস কাউন্টার বিএনপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি কমিটি ভোগ করবে।” তবে ভিডিওটি কবে ধারণ করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। এর জেরে মতিউর রহমানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মতিউর রহমান দাবি করেছেন, কুয়াকাটায় বিআরটিসির দুইটি কাউন্টার থাকায় যাত্রী হয়রানি বাড়ছে। এর কারণে একটি কাউন্টার বন্ধ করার বিষয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, মুঠোফোনের কথোপকথনের ভিডিওর খণ্ডিত অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “পৌর বিএনপির সভাপতি, সহসভাপতিসহ অন্য ব্যক্তিরাও ওই সময় একই বিষয়ে কথা বলেছেন। অথচ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু আমার বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে।”
জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছে নেতৃবৃন্দ। মতিউর রহমানের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিও নিয়ে সাধারণ জনগণ ও দলীয় কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বিষয়টি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ ভিডিওটি প্রচারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন।