বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “দেশকে গড়তে হলে দল-মত নির্বিশেষে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় বিএনপির কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা সকল দলকে নিয়ে সরকার গঠন করতে চাই।” তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, “তারা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে এবং সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকল ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে।”
তারেক রহমান গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, “জনসংখ্যা অনুপাতে গ্রামে দুই থেকে তিনজন করে প্রশিক্ষিত পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে ৭০ হাজার নারী পল্লী চিকিৎসকসহ মোট এক লক্ষ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।” পাশাপাশি, স্বাস্থ্য বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরিতে বিএনপির ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “বাংলাদেশের জনসংখ্যা কোনোভাবেই ২০ কোটির কম নয়। ক্ষমতায় গেলে স্কুল পর্যায় থেকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হবে, যাতে দেশে বেকারত্ব দূর করা যায়।”
তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দেন, সরকার গঠন করতে পারলে গত ১৫ বছরে নিহত গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি, নিহতদের পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ফারজানা সারমিন পিতুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ রংপুর বিভাগের আট জেলার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। কর্মশালায় দলীয় সংগঠন শক্তিশালী করা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
তারেক রহমানের এই বক্তব্যে জাতির ঐক্য, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিএনপির এসব প্রতিশ্রুতি দেশের জনগণের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্রতিফলন।