ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের ‘মাহতারি বন্দনা যোজনা’ প্রকল্পের আওতায় এক বিস্ময়কর ঘটনা সামনে এসেছে। সরকারি ভাতা গ্রহণকারী হিসেবে সানি লিওনের নাম উঠে আসার পর থেকেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথমে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, ‘মাহতারি বন্দনা যোজনা’ একটি সরকারি প্রকল্প, যার মাধ্যমে বিবাহিত মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং তাদের ক্ষমতায়ন করা। তবে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, সানি লিওন নামে এক ব্যক্তি এই প্রকল্পের আওতায় নিয়মিত ভাতা পেয়েছেন, এবং একে একে ১০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন।
তবে, সানি লিওনের প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি শোরগোল তৈরি করেছে। এটি জানা গেছে যে, সানি লিওনের সাথে প্রকৃত কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, তার নামে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তি বীরেন্দ্র যোশী, যিনি নিজের স্ত্রীর নাম সানি লিওন ব্যবহার করে এই ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা সংগ্রহ করতেন।
সানি লিওনের নামের এই ভুয়া অ্যাকাউন্টের খবর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক হরিশ এস জানিয়েছেন, ওই অ্যাকাউন্টটি ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে এবং কীভাবে এই অজানা প্রক্রিয়াটি ঘটেছে, তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
এদিকে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ‘মাহতারি বন্দনা যোজনা’-এর আওতায় ৫০ শতাংশ ভাতাগ্রহীতা ভুয়া হতে পারে। কংগ্রেসের দাবি, তাদের পক্ষ থেকে এ ধরনের ভুলত্রুটি না হলে সরকারের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না।
তবে, বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। বিজেপির উপমুখ্যমন্ত্রী অরুণ সাও দাবি করেছেন, কংগ্রেসের শাসনামলে মহিলাদের জন্য এমন কোনো ভাতা প্রদান করা হয়নি, যা বর্তমান বিজেপি সরকার তাদের দিয়েছে।
এই ঘটনায় একটি আশ্চর্য বিষয়ও উন্মোচিত হয়েছে। যে ভুয়া অ্যাকাউন্টটি সানি লিওনের নামে খোলা হয়েছিল, সেটি এখন আর কোন ভাতা পাচ্ছে না। তবে অভিযুক্ত বীরেন্দ্র যোশী এখনও গ্রেপ্তার হননি, এবং তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনা ছত্তিশগড়ে সরকারের জন্য বড় ধরনের প্রশ্ন তৈরি করেছে, এবং এখনো পুরো পরিস্থিতি তদন্তের আওতায় রয়েছে।