প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি নেওয়া হলে তা তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের কাজও সহজ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, যা বাস্তবায়িত না হলে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। ভোটাধিকার শুধু অধিকার নয়, এটি এখন দায়িত্বও।
নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যার যার দৃষ্টিকোণ থেকে বক্তব্য দেবে এবং এতে ভিন্নতা থাকবে, যা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। দলগুলো যখন বিপরীতমুখী বক্তব্য দেয়, তখন তিনি আশাহত হন না, বরং বিশ্বাস করেন যে, একপর্যায়ে তারা একমত হবে।
নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বদ্ধ ঘরের পরিবর্তে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমিও চাই, আমাদের ভোটটা হোক স্বচ্ছ ও ট্রান্সপারেন্ট। সেটা কীভাবে সম্ভব? যদি আমরা বদ্ধ ঘরে ভোট গ্রহণ করি! তাই আমি চাই, আমাদের নির্বাচনটা হোক খোলা মাঠে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবাই সহযোগিতা করলে আমি এই সংস্কার করতে চাই, খোলা মাঠে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই।’
তাহমিদা আহমদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘এটি বাস্তবসম্মত কি না, তা ভেবে দেখা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের শাসক নির্বাচন করে এবং ভোটারদের মতামত তখনই প্রতিফলিত হবে, যখন তারা সঠিকভাবে ভোট দিতে পারবেন।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ‘কেউ দায় এড়াতে পারে না। আমরা কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ভাঙব কিন্তু মচকাব না।’
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আরেকটি ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন জানান, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার।