নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ছোনখোলা এলাকায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার, ঈদুল ফিতরের রাতের শেষে ফজরের নামাজের সময়, দুর্বৃত্তরা ছাগলের খামারে আগুন লাগিয়ে কেয়ারটেকার সাদ্দাম (৩০) কে হত্যার চেষ্টা চালায়।
সাদ্দামের পরিবার, খামারের মালিকপক্ষ এবং এলাকাবাসী ধারণা করছেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই সাদ্দামের ওপর এই হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।
সাদ্দাম এই খামারের কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ছোনখোলা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। উক্ত খামারটি স্থানীয় তিন যুবক—হাজী আব্দুল আউয়াল ব্যাপারীর অনার্স পাশ ছেলে আবু সালেহ (২৯), মোহাম্মদ রফিকের মাস্টার্স পাশ ছেলে আরমান এবং আব্দুর রহমানের এইচএসসি পাশ ছেলে আরমান মিলে গড়ে তোলেন।
তারা জানান, প্রথমে তিনজন মিলে তিন লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে মাত্র তিনটি ছাগল দিয়ে খামারটি শুরু করেন। বর্তমানে সাদ্দামসহ সবার কঠোর পরিশ্রমে খামারের ছাগলের সংখ্যা ৩৪-এ পৌঁছেছে। তবে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চারটি ছাগল লুট হয়ে গেছে।
সাদ্দাম গত দুই বছর ধরে এই খামারেই রাত্রিযাপন করে আসছিলেন। তবে রমজানের শেষ ১০ দিন তিনি মসজিদে এতেকাফে ছিলেন। এতেকাফ শেষে ২৯ মার্চ চাঁদরাত এবং ঈদের রাত ৩১ মার্চ মঙ্গলবার তিনি তার নিজ ঘরে ঘুমান। দুর্বৃত্তরা হয়তো ভেবেছিল যে, এতেকাফ শেষে সাদ্দাম খামারেই ঘুমাচ্ছেন। তাই তারা ঠিক সেই জায়গাতেই আগুন লাগিয়ে দেয় যেখানে সাদ্দাম সাধারণত ঘুমাতেন।
তবে আল্লাহর রহমতে কাঠের পাটাতন আগুনে পুড়ে নিচে পড়ে গেলে আগুনও নিচে নেমে যায়, ফলে খামারের কোনো ছাগল পুড়ে যায়নি। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং সাদ্দামের পরিবার ও খামারের মালিকপক্ষ দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।