
পুত্রবধূকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের বুরিখালি গ্রামের মৃত:আব্দুল মজিদ শেখের পুত্র তোরাব আলী শেখ (৬৫) এর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৮মার্চ) রাতে পুত্রবধূকে একা পেয়ে অভিযুক্ত শ্বশুর তোরাব আলী এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তোরাব আলী এর নামে নাজিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতা তরুণীর মা মোসা: আফরোজা খানম।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, গত ০৬ মাস পূর্বে অভিযুক্ত তোরাব আলী শেখের ছেলের সাথে বাদী আফরোজা খানমের মেয়ের বিয়ে হয়, গৃহবধুর স্বামী চট্টগ্রামে চাকরি করার সুবাদে সে নাজিরপুরে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করত। পুত্রবধূর শাশুড়ি চট্টগ্রামের ছেলের কাছে বেড়াতে গেলে ৮ এপ্রিল রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পুত্রবধূকে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে শশুর তোরাব আলী তাকে ধর্ষণ করে। পরে সে জ্ঞান ফিরে বিষয়টি বুঝতে পারে এবং এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার মাকে খবর দেয়। তার মা আফরোজা খানম এসে প্রথমে মেয়েকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে, পরে চিকিৎসক ধর্ষনের আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে ধর্ষিতা তরুণী পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ধর্ষিতার মা আফরোজা খানম বলেন, ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে, আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। ধর্ষিতার বড় ভাই সাগর জানান, আমার বোনকে পিতৃতুল্য শ্বশুর ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে নিন্দনীয় ও জঘন্যতম কাজ ধর্ষণ করেছে, আমার বোনকে চিকিৎসা ও ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছি, আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: অশেষ প্রতিম রায় বলেন, উপজেলার বুরিখালি গ্রাম থেকে বুধবার বিকেলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ধর্ষণের আলামত পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য আমরা তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।
নাজিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, শশুরের বিরুদ্ধে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনায় পর থেকে অভিযুক্ত শশুর তোরাব আলী পলাতক, তাকে গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা চলছে।
Like this:
Like Loading...
Related