বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব এবার ছড়িয়ে পড়েছে জ্বালানি খাতেও। গত দশ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে, এমন খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমস। এই পদক্ষেপ বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজির উপর চীন শুল্ক আরোপ করেছে সর্বোচ্চ ১৪৫% পর্যন্ত। এর বিপরীতে বেইজিংও প্রতিশোধমূলকভাবে মার্কিন পণ্যের উপর ১২৫% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ রপ্তানিতেও সীমাবদ্ধতা এনেছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে টেক্সাসের কর্পাস ক্রিস্টি থেকে একটি ৬৯,০০০ টন এলএনজি ট্যাঙ্কার চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে পৌঁছানোর পর থেকে চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো এলএনজি আমদানি করেনি। বিষয়টি বিশ্লেষকরা দেখছেন জ্বালানি খাতে দুই পরাশক্তির তীব্র বিভেদ হিসেবে।
চীনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, বেইজিং এখন রাশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি বাড়াতে আগ্রহী। এমনকি রাশিয়া থেকে চীন পর্যন্ত প্রস্তাবিত ‘পাওয়ার অব সাইবেরিয়া-২’ গ্যাস পাইপলাইন নিয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, যদিও রুট এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
২০২৪ সালে চীন ছিল এশিয়ায় রাশিয়ার এলএনজির শীর্ষ ক্রেতা। অস্ট্রেলিয়া ও কাতারের পর এখন রাশিয়াই হয়ে উঠছে চীনের তৃতীয় বৃহত্তম গ্যাস সরবরাহকারী।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন গ্লোবাল এনার্জি পলিসির বিশ্লেষক অ্যান-সোফি করবো জানান, “এই পরিস্থিতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে। আমার মনে হয় না, চীনা আমদানিকারকরা ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন কোনো এলএনজি চুক্তি করবে।”