জাতীয় সংসদের এলডি হলে আজ শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং ঐকমত্য কমিশনের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত এই আলোচনায় অংশ নেয় এনসিপির আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা, নাহিদ ইসলাম আহ্বায়ক, আখতার হোসেন সদস্যসচিব, সামান্তা শারমিন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, সারোয়ার তুষার যুগ্ম আহ্বায়ক, জাবেদ রাসিন, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী মুখ্য সমন্বয়ক, হাসনাত আব্দুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, নাহিদা সারওয়ার নিভা সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব।
বৈঠকের সূচনাপর্বে দলীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানোর রাজনীতি করি না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি নতুন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বন্দোবস্ত চায়, যেখানে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।”
কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বৈঠকে বলেন, “এনসিপি নেতারা অতীতে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে রুখে দাঁড়িয়েছে। জাতি তাদের সেই অবদান চিরকাল স্মরণ রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাকে বারবার স্তব্ধ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে একক ক্ষমতার কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য হবে সেই ক্ষমতাকেন্দ্রিক ব্যবস্থা সংস্কার করে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা।”
বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একদিকে জনগণের মধ্যে গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতা ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রবল হচ্ছে, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার চেষ্টা দৃশ্যমান। এনসিপি ও ঐকমত্য কমিশনের এই আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন রাষ্ট্রীয় ভাবনার সূচনা হতে পারে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।