তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রায় তিন কোটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। বুধবার (তারিখ) নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্তি” শীর্ষক কর্মশালায় তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “তিস্তা নদী শুধু পানি প্রবাহ নয়, এটি উত্তরের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কৃষি, জীববৈচিত্র্য ও অর্থনীতিতে এক বিপ্লব ঘটবে।”
বিএনপির এই কর্মসূচিতে অনেক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করেছে, যা উত্তরের মানুষের দাবিকে আরও শক্তিশালী করেছে।
তারেক রহমান জানান, “নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির জন্য বর্তমান ৫০টি সংরক্ষিত আসনের পরিবর্তে আগামীতে ১০০টি আসনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে বিষয়টি সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমানের আমলে পল্লী চিকিৎসা ছিল একটি কার্যকর ব্যবস্থা। মানুষ যেন সহজেই বাড়িতে বসে প্রাথমিক চিকিৎসা পায়, সে জন্য পুনরায় পল্লী চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করা হবে।”
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, “সংস্কার ও নির্বাচন বিপরীতমুখী নয়। সরকারের ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুটি বিষয়কে মুখোমুখি করা হচ্ছে।”
যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, “বর্তমান সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে, তারেক রহমান সেই রুপরেখা ৫ বছর আগেই দিয়েছেন। সেই সংস্কার এখন সমাজে সমাদৃত ও বাস্তবায়িত হচ্ছে।”
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার। বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ – রাশেদা বেগম হিরা (প্রশিক্ষণ সম্পাদক), মিসেস নেওয়াজ হালিমা আরলী (ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক), শাম্মী আক্তার (স্থানীয় সরকার সম্পাদক), সাইফ মাহমুদ জুয়েল (ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক) ও জেলা সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম। সঞ্চালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল।
অন্যদিকে, সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলার কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আব্দুল গফুর সরকার। উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বেবী নাজনিন, তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন এবং প্রশিক্ষণ সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন।