ইলন মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে লাইসেন্স পেতে সবুজ সংকেত পেয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ইতোমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. এমদাদ উল বারী জানান, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই স্টারলিংকের জন্য নির্ধারিত ফি নিয়ে লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।
২০২১ সালে বাংলাদেশে সেবা শুরু করার চেষ্টা করা স্টারলিংক গত ৭ এপ্রিল স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার জন্য বিটিআরসির কাছে লাইসেন্সের আবেদন করেছিল। স্টারলিংকের অফিস ঢাকার কারওয়ান বাজারে অবস্থিত এবং বিটিআরসি তার আবেদন পর্যালোচনা করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি নথিপত্র যাচাই করে লাইসেন্সের জন্য সুপারিশ করে এবং একটি দল অফিস পরিদর্শন করে একই সুপারিশ দিয়েছে।
এটি সেলুলার বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কোম্পানির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। স্টারলিংক ৬,০০০-এরও বেশি স্যাটেলাইট পরিচালনা করছে এবং বিশ্বজুড়ে ৩ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীকে সেবা দিচ্ছে। এটি বিশেষত দুর্গম এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানোর মাধ্যমে বাজারে সুবিধা আনতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশে স্টারলিংকের সাফল্য অনেকটাই সরকারের নীতিমালা, মূল্য নির্ধারণ কৌশল এবং স্থানীয় বাস্তবতার ওপর নির্ভর করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক দাম ও নীতি নির্ধারণ করা হলে এটি দেশের ডিজিটাল সংযোগের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে স্টারলিংক শিগগিরই বাংলাদেশের ডিজিটাল নেটওয়ার্কে সেবা প্রদান শুরু করতে পারবে। তবে, স্যাটেলাইট ডিশ ও রাউটারসহ প্রাথমিক সরঞ্জামের খরচ ২০০-৫০০ ডলার হতে পারে, যা অনেকের জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।