বাংলাদেশের এক গ্রামে সংঘটিত হয়েছে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা, যার নেতৃত্বে ছিল এম. কামরুল ইসলাম ও তার গ্যাং। গ্রামে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তারা দোকান ভাঙচুর, নিরীহ লোকজনকে মারধর, নারী-শিশুদের উপর নির্যাতন ও বসতবাড়ি কুপিয়ে নষ্ট করে দেয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, কামরুল ইসলাম, লিটন ফকির, হারুন অর রশীদ গেন্দা, নারিকেলির মিলনসহ গ্যাং সদস্যরা রাতের আধারে মানিকের দোকানের সামনে নিরীহ লোকদের উপর হামলা চালায়।
তারা দোকান ভাঙচুর করে এবং দলবল নিয়ে দোকানের মালামাল লুটে নেয়। এরপর ঘরে ঘরে ঢুকে রাম দা ও দেশি অস্ত্র দিয়ে বসতবাড়ি কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ধানের ক্ষেত নষ্ট করে দেয়।
গ্যাংয়ের সদস্যরা শুধু পুরুষ নয়, নারী ও শিশুদের উপরও নির্যাতন চালায়। বৃদ্ধা এক মহিলাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রীর হাত ভেঙে দেয় সন্ত্রাসীরা। ইসমাইল নামের এক ব্যক্তি মৃত্যুশয্যায়, অথচ স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসক হুমকির কারণে দুইজন রোগীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এই ঘটনার পর স্থানীয়রা জানান, ভয়ে অনেক পরিবার অন্য গ্রামে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। রাতজেগে কাটানো আতঙ্কে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে দাবি করেছেন, “কামরুল ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা নিরাপত্তা চাই, শান্তি চাই।”