চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) র্যাগিংয়ের অভিযোগে ১১ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র।
গত ৫ নভেম্বর রাতে চুয়েটের প্রধান গেটের বাইরে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (২৩ ব্যাচ) কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে ১১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির ২৭৮তম সভায় অভিযুক্তদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক ও স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্যসচিব মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ছয় মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে তারা একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর আপিল করার সুযোগও রাখা হয়েছে।
চুয়েট প্রশাসন র্যাগিং বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি এ বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ ধরনের শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চুয়েটে র্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে র্যাগিংয়ের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আরও সচেতনতা সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।