রাজশাহী নগরীর টুলটুলি পাড়া এলাকায় ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে জিম্মি করা হয় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কনস্টেবল বদিউজ্জামান জনিকে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোররাতে ছয় যুবকের একটি দল তাকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করে। পুলিশের তৎপরতায় দুই ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হলেও প্রধান অভিযুক্ত মিলনসহ বাকিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সানোয়ার নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
রাজপাড়া থানায় কর্মরত কনস্টেবল বদিউজ্জামান জনি এর আগে একটি ছিনতাই মামলায় অভিযুক্ত মিলনের বিরুদ্ধে মামলা টাইপ করেছিলেন। মূলত, সেই ক্ষোভ থেকেই মিলন কনস্টেবল জনিকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। মিলন নগরীর হড়গ্রামের বাসিন্দা এবং তার বিরুদ্ধে চুরি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
ভোররাতে কনস্টেবল জনিকে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে মিলন ও তার সহযোগীরা। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জনির কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়। প্রাণহানির ভয়ে জনি তার এক বন্ধুকে ফোন করে পরিস্থিতি জানান। ওই বন্ধু খবরটি জনির বাবাকে দেন, যিনি তাৎক্ষণিকভাবে রাজপাড়া থানায় বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কনস্টেবল জনিকে উদ্ধার করে। অভিযানের সময় প্রধান অভিযুক্ত মিলনসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও সানোয়ার নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল আলম বলেন, “মিলন সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। এরপর থেকেই সে বদিউজ্জামান জনিকে লক্ষ্য করছিল। ভোররাতে তাকে একা পেয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত জনিকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং গ্রেপ্তার সানোয়ারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক মিলনসহ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এই ঘটনা পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।