নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে উপজেলার হাটাব এলাকায় কাঞ্চন-রূপসী সড়কে এসব মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, হৃদয় খান (২৬) — বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি গ্রামের বাসিন্দা, রাম দাস (৭০) — রূপগঞ্জের হাটাব এলাকার বাসিন্দা, ইবাদুল্লাহ (৭১) — একই এলাকার বাসিন্দা।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, মুন্না ও শান্ত — হৃদয় খানের বন্ধু, তাহের, রাধামন, সুরেশ্বর, ও অনিক — পথচারী।
সকাল ৮টার দিকে হাটাব এলাকায় মোটরসাইকেল ও ইটবাহী তিন চাকার নছিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই হৃদয় খান নিহত হন। তাঁর বন্ধু মুন্না ও শান্ত গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় ও তাঁর বন্ধুরা ঢাকা থেকে রূপগঞ্জে খেজুরের রস খেতে এসেছিলেন। দুর্ঘটনার পর আহত মুন্না ও শান্তকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রথম দুর্ঘটনার পর সকাল ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দূরে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন পথচারীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাম দাস ও ইবাদুল্লাহ নিহত হন। আহত হন তাহের, রাধামন, সুরেশ্বর ও অনিক।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কার এবং নছিমনের চালককে আটক করা হয়েছে। যানবাহন দুটি জব্দ করা হয়েছে। স্বজনদের আবেদনের পর নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও আহত হওয়ার এ ঘটনা এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে এবং পরবর্তী আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।