নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাজিতপুর বিলে অপরিকল্পিত পুকুর খনন ও নদী ভরাটের কারণে ১০০ একর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে কৃষকেরা শীতকালীন ফসল চাষাবাদ করতে পারছেন না।
বাজিতপুর বিলে শত শত পুকুর খনন এবং বিলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি স্থায়ীভাবে জমে গিয়ে কৃষি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বাজিতপুর গ্রামের কৃষক আবদুস সোবাহান জানান, তাঁর ২০ বিঘা জমি এখনো পানির নিচে। তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে বোরো ধান, শর্ষে, গম, ও রসুনের আবাদ করতে পারিনি। আমার সংসার এই জমির ফসলের ওপর নির্ভর করে। লোভী কিছু লোকের পুকুর কাটার কারণে জমির পানি নামছে না। এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
একই গ্রামের কলেজশিক্ষক খাদেমুল ইসলাম জানান, তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। জলাবদ্ধতার কারণে স্থানীয় কৃষকেরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহাদি হাসান জানান, ‘বড়াইগ্রাম উপজেলার অধিকাংশ জমি তিন ফসলি। কিন্তু অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে অন্তত ৩০০ বিঘা জমি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় পড়েছে। পানি না সরলে নতুন ফসল চাষ সম্ভব নয়। তবে পানি নামার পর কী ফসল করলে কৃষকের ক্ষতি কমানো যাবে, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘জলাবদ্ধতার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে এর সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার শতাধিক কৃষকের আবাদি জমি অনাবাদী হয়ে পড়েছে। তাঁরা দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।