দীর্ঘ ১২ বছর পর বিপিএলে প্রত্যাবর্তন করে চিটাগাং কিংস। ২০১৩ সালের পর আবারও ফাইনালে জায়গা করে নিলেও শিরোপা ছোঁয়া হলো না বন্দর নগরীর দলটির। জমজমাট ফাইনালে ফরচুন বরিশালের কাছে ৩ উইকেটে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে চিটাগাংয়ের। অন্যদিকে, এই জয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বরিশাল।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে চিটাগাং কিংসকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফি। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে চিটাগাং।
৪৪ বলে ৬৬ রান করে আউট হন নাফি, তবে ৪৯ বলে ৭৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন পারভেজ ইমন। তাদের সঙ্গে ২৩ বলে ৪৪ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন গ্রাহাম ক্লার্ক।
১৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয়। মাত্র ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ৭৬ রান যোগ করেন। তবে ২৯ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তামিম।
তার বিদায়ের পর বরিশালের জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় চিটাগাং। দাউদ মালান মাত্র ২ বলে ১ রান করে ও হৃদয় ২৮ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন মুশফিকুর রহিম। ৩৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা। তবে দলীয় ১৩০ রানে ৯ বলে ১৬ রান করে আউট হন মুশফিক।
শেষদিকে ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাকে সঙ্গ দেন কাইল মায়ার্স। তারা রান তোলার চেষ্টা করলেও চিটাগাংয়ের শরীফুল ইসলামের বোলিংয়ে ম্যাচে রোমাঞ্চ দেখা দেয়। দলীয় ১৭২ রানে এই দুই ব্যাটারকে আউট করে জয়ের স্বপ্ন দেখায় চিটাগাং। মায়ার্স ২৮ বলে ৪৬ ও মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে ৭ রান করে আউট হন।
তবে শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ৬ বলে অপরাজিত ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে মাত্র ৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। এই জয়ে বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতলো তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশাল।