বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, “নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। কেউ বলছে সংস্কার, কেউ বলছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, আবার কেউ জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না।”
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাদারীপুর শহরের শকুনী লেকেরপাড় স্বাধীনতা অঙ্গনে জেলা বিএনপির আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই জনসভা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবি, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি এবং রাষ্ট্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী চক্রান্ত মোকাবিলার দাবিতে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান আরও বলেন, “জাতীয় নির্বাচন হলে দেশের বর্তমান বিশৃঙ্খল অবস্থা দূর হয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে, জবাবদিহিতা আসবে এবং জনগণ আস্থা ফিরে পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা তারেক রহমানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। গত ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়ে আসছে। বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনিদের বিচার হতে হবে।”
সেলিমা রহমান বলেন, “বিএনপির দলে আওয়ামী লীগের কোনো দোসর যেন স্থান না পায়, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “বাজার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে। জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রাখতে হবে।”
এই জনসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দও বক্তব্য দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন, শামা ওবায়েদ (সাংগঠনিক সম্পাদক), খোন্দকার মাশুকুর রহমান (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক), সেলিমুজ্জামান সেলিম (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক), হেলেন জেরিন খান (সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক), আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন (সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক), কাজী হুমায়ুন কবির (কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য)।
মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাফর আলী মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহানের সঞ্চালনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন হাওলাদার, জামিনুর রহমান মিঠু ও মিজানুর রহমান মুরাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান পলাশ, জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. মহিউদ্দিন হাফিজ।