ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পাওয়া ৯৬টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক নীতিমালা সংস্কার উপ-কমিটি। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তিনটি বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। এসব পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং এবং প্রক্সি ভোটিং। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, প্রক্সি ভোটিং হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি, যেটি ইতোমধ্যে কিছু দেশে চালু আছে। এই পদ্ধতিতে প্রবাসী ভোটাররা তাদের নির্ধারিত প্রতিনিধির মাধ্যমে রিয়েল-টাইমে ভোট প্রদান করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতির সম্ভাব্য কাঠামো নির্ধারণের পর রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে বিদ্যমান আইন পরিবর্তন করা হতে পারে।
এ যাবতকালে নির্বাচনে যুক্ত ব্যক্তিরা এবং কারাবন্দিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারলেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এই সুবিধা ছিল না। তবে, ৫ আগস্টের পর পট পরিবর্তনের ফলে অন্তর্বর্তী সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের আওতায় আনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন একটি কমিটি গঠন করেছে, যা প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর ভোটিং পদ্ধতি নির্ধারণের কাজ করছে।
নির্বাচন কমিশন আশা করছে, নতুন এই পদ্ধতিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে আরও স্বচ্ছতা ও সুযোগ পাবেন।