ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তি পর্যায়ে চড়া সুদে লেনদেন এবং দাদন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এই বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আদালত তাদের আদেশে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে রিটের চাওয়া সুদ ও দাদন ব্যবসা বন্ধ সংক্রান্ত আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য।
এছাড়া, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুসারে, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার উদমারা গ্রামের বাসিন্দা শচীন্দ্র নাথ শীল ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট দায়ের করেন। তার এই রিটে সুদ ও দাদন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা তুলে ধরা হয়েছিল।
অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন।
এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সুদ ও দাদন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া আশা করা হচ্ছে।