দখল বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের (যুবদল) পরিচয় ব্যবহার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জড়িতদের চিহ্নিত করে আটকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে কড়া অবস্থান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে—বিশেষ করে গুলিস্তান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়—এক শ্রেণির অসাধু চক্র ফুটপাত দখল করে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছে। এতে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
তবে এসব দখল বাণিজ্যের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে যুবদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সংগঠনটির দাবি, কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে এবং দখল বাণিজ্যের বৈধতা দিতে যুবদলের নাম ব্যবহার করছে, যা দলীয় আদর্শের পরিপন্থী।
যুবদল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, সংগঠনের নামে কোনো দখল বাণিজ্য হলে তাৎক্ষণিকভাবে জড়িতদের আটক করে তাদের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জানানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। এজন্য তারা দুটি বিশেষ হটলাইন নম্বরও প্রকাশ করেছে, নুরুল ইসলাম সোহেল (দপ্তর সম্পাদক): ০১৮১৯ ২৯৫ ১০৬, মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া (সহ-দপ্তর সম্পাদক): ০১৭১২ ০৬১ ১৯৮।
যুবদল জানিয়েছে, দখল বাণিজ্যের সঙ্গে সংগঠনের কোনো সদস্য যুক্ত থাকলে অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যুবদলের নেতারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছেন, দখল বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।
এছাড়া, দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে যারা অপরাধ করছে, তাদের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
যুবদল তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, দলটি বরাবরই জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “যুবদলের কেউ যদি দখল বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে তাকে অবশ্যই বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।”
তবে কিছু অসাধু চক্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যুবদলের নাম ব্যবহার করে সংগঠনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন নেতারা।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি সচেতন নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছে, কোথাও যুবদলের নাম ব্যবহার করে অবৈধ দখল বাণিজ্য পরিচালিত হলে সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জানানোর জন্য।
এই ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে দলীয় নেতৃত্ব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
যুবদলের নামে দখল বাণিজ্য চালানোর অপচেষ্টা রোধে সংগঠনটি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। অপরাধীদের আটকের পাশাপাশি দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তদন্ত চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানায় যুবদল।