ভোট দেওয়ার বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ বছর এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২৩ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি এই প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে জমা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর রূপায়ণ সেন্টারে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “আগামীকাল (রোববার) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার সুপারিশমালা জমা দেওয়া হবে। সেখানে ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব করবে এনসিপি।”
গণ-অভ্যুত্থানের পর সংবিধান আর কার্যকর নেই দাবি করে নতুন সংবিধান রচনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন এনসিপির এই নেতা।
তিনি বলেন, “এনসিপি মনে করে, আগামী নির্বাচন গণপরিষদ হওয়া উচিত। সংবিধান সংস্কার কাজ শেষ করে একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই গণপরিষদই আইনসভায় রূপান্তরিত হবে।”
বর্তমানে ভোটার হতে হলে ১৮ বছর এবং নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ২৫ বছর বয়স পূর্ণ হতে হয়। তবে এনসিপি মনে করে, তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় করতে ভোটের বয়স ১৬ এবং প্রার্থিতার বয়স ২৩ করা প্রয়োজন।
তরুণদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি এই সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিক সুপারিশ পেশ করবে।
এই প্রস্তাব নিয়ে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। সমর্থকরা বলছেন, তরুণদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়াতে এই পরিবর্তন সময়োপযোগী হতে পারে। তবে বিরোধীদের মতে, এটি অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে।
এনসিপির এই প্রস্তাব কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে, তা এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।