গত রাত থেকে যাতে কোন ধরণের বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি না হয় এজন্য আন্দোলনের আহ্বায় শিবলুল বারী রাজু ভাই, রতন মাস্টারসহ অনেকের সাথে কথা বলে পাঁচ রাস্তা থেকে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করে ফৌজদারি মোড়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
সমাবেশস্থলে প্রথম পর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিকে নিয়ে গিয়ে তাদের দাবি পূরণে কথা বলাই। পরে আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দ, প্রশানের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে বসি। আশানুরুপ আলোচনা না হওয়ায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বন্ধুবর অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন ভাইকে ফোনে ঘটনার বিবরণ জানালে সে দ্রুত ডিসির কনফারেন্স রুমে আসেন। মামুন ভাইয়ের উপস্থিতি এবং যৌক্তিক আলোচনা শেষে পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১। ঈদের আগেই ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করা ২। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন ৩। আগামী দুই/তিন দিনের মধ্যে কমিটি বসে সমবায় সমিতির মালিক ও আকাবাসহ ২৩ সমিতির সম্পদের তালিকা প্রণয়ন এবং মালিকদের মাধ্যমে সম্পদ হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়া ৪। আইনজীবী প্যানেলের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করা ৫। দ্রুত সময়ের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করে টাকা পরিশোধ করা না হলে সমিতির সম্পদের ওপর রিসিভার নিয়োগ করে আয়কৃত অর্থ পর্যায়ক্রমে গ্রাহদের মাঝে ফেরত দেয়া অথবা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা বিক্রি করে গ্রাহদের টাকা ফেরত দেয়া।
উল্লেখ সমবায় সমিতিগুলোর যে পরিমান সম্পদ আছে তার তুলনায় অনেক কম আছে গ্রাহকদের আমানত। সুতারাং দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিরোধ মিমাংশা করা সম্ভব।