পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, যাত্রী সাধারণের নিরাপদ যাতায়াত, ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আদায় ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তবে পুলিশের কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়েও নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আইনের মূল লক্ষ্য একটি ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা—যাতে নাগরিকরা বুঝতে পারেন যে আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। বিশেষ করে, উল্টো পথে যান চলাচল, ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, পুলিশের জোরদার তৎপরতায় রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা অনেকাংশে কমে এসেছে। সবার সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত সংস্থাসমূহ, সমন্বয় সভায় পুলিশ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ, নৌপরিবহণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ফেডারেশন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি ও ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, লঞ্চ শ্রমিক সমিতি ও লঞ্চ মালিক সমিতি, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, জিএমপি, বিআইডব্লিউটিএ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা, সভায় উত্থাপিত বিষয়সমূহ।
সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। এরপর বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং নিজ নিজ পর্যায়ের সুপারিশ ও মতামত তুলে ধরেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পুলিশের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি সাধারণ জনগণ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উৎসবের সময় রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।