দুর্নীতির অভিযোগে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এই দাবি জানিয়েছে এবং তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন এবং টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন উপদেষ্টাদের সহকারীরা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন।
একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবি এবং ডা. মাহমুদুল হাসান’এর বিরুদ্ধেও।
বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম আরও দাবি করেছে, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল। তারা যদি এই দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত না থাকতেন, তবে অভিযুক্তরা এতদূর যেতে পারতেন না। এটি প্রশ্ন তুলছে, তাদের নির্দেশদাতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?
সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা এবং জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার জন্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি, দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী’কে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরকারের এই পদক্ষেপের পর বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে জানিয়েছে, তবে তারা বিশ্বাস করে যে এই দুর্নীতির সাথে আরও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারেন, যাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।